Thursday, July 26, 2018

পারলে শেয়ার করুনঃ হয়তো শারমিনদের মত অসহায় মেয়েদের পাশের কেউ না কেউ এসে দাড়াতে পারেঃ

পারলে শেয়ার করুনঃ
হয়তো শারমিনদের মত অসহায় মেয়েদের পাশের কেউ না কেউ এসে দাড়াতে পারেঃ
চোখের মনিটা তার কালো হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু কালো নয়, হয়ে গেলো সাদা। নাম না বলে তার উদ্দেশ্যে কিছু বললে সেটা হয়তো সে বুঝতে পারবে না। যতক্ষণ না, তাকে একটু স্পর্শ করে ইঙ্গিত করা হবে যে তাকে কিছু বলা হচ্ছে। সে হয়তো আপনার দিকে তাকাবে। সেই তাকানোতে দৃষ্টি নেই। সেখানে শুধুই শূন্যতা। কারণ, তার চোখে যে আলো নেই! নিষ্ঠুর এই পৃথিবী তার চোখের আলো কেড়ে নিয়েছে ছয় বছর বয়সে। এখন সে দৃষ্টিহীন। সমাজ যাদের নাম দিয়েছে ‘অন্ধ’।

যার কথা বলা হলো এতক্ষণ, নাম তার শারমিন আক্তার। নিয়তি যদি শুধুমাত্র তার দৃষ্টি কেড়ে নিয়েই ক্ষান্ত হতো, তাতেও অনুযোগ করার কোনো কারণ থাকতো না। কিন্তু তার দৃষ্টি কেড়ে নেয়ার আগে নিয়তি কেড়ে নিয়েছে তার বাবাকে। মায়ের গর্ভে যখন আট মাস, তখনই না ফেরার দেশে চলে যায় শারমিনের বাবা। জন্মের এক বছরের মধ্যে হারালো মা’কেও। ওই এতটুকুন বয়সে আশ্রয় মিলেছিল বাগেরহাটে নানির কাছে। মাত্র এক বছর বয়সে মা-বাবা দু’জনকেই যে হারিয়ে ফেলে, তার চেয়ে অসহায় আর কে আছে পৃথিবীতে?

শারমিনের পৃথিবীটা তাই জন্মের পর থেকেই অন্ধকার! তার চোখের আলো থেকেও যেন কোনো লাভ ছিল না। তবুও, যে চোখ তাকে পথ চলতে আলো বিলাতো, সেই চোখের আলোও হারিয়ে ফেললো মাত্র ৬ বছর বয়সে। চোখের মনি কালো থেকে সাদা হতে লাগলো। দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে থাকলো। ধীরে ধীরে পৃথিবী অন্ধকার হয়ে গেলো শারমিন আক্তারের।

মামা-বাবা থাকলে হয়তো শারমিনকে কোনো ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতো। কিন্তু যে কি-না পৃথিবীর চেয়েও ভারি কষ্ট বুকে নিয়ে জন্ম নেয়, তার জন্য আর ভালো কি অপেক্ষা করতে পারে? শারমিনের ভাগ্যেও জুটলো না কোনো চিকিৎসা। ৬ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগেই এক সময় সে সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলে। হয়ে যায় পুরোপুরি অন্ধ।

একবার শুধু নিজেকে ছয় বছর বয়সী এই মেয়েটার জায়গায় কল্পনা করে দেখুন! কল্পনা করুন, আপনার বাবা-মা নেই, এরপর আপনি দৃষ্টি শক্তিও হারিয়ে ফেললেন। এই দুনিয়ায় চারপাশে কেউ নেই, কেমন অনুভূতি হবে আপনার? সত্যিকারার্থেই পৃথিবীতে শারমিন আক্তারের চেয়ে অসহায় আর কেউ ছিল না তখন।

অন্ধ অবস্থায় নানির কাছে কাটলো আরও প্রায় পাঁচ বছর; কিন্তু এমন এক প্রতিবন্ধী ছোট্ট মেয়েকে মায়া-মমতা আর আদর ভালোবাসা দিয়ে কতদিন কে আগলে রাখবে? এখনকার সমাজ যেখানে একজন সুস্থ-সবল মানুষকেও আশ্রয় দিতে অপারগ, সেখানে ৯-১০ বছর বয়সী একজন অন্ধের দায়িত্বভার টানবে কে? টানলো না শারমিনের নানিও। তারা সিদ্ধান্ত নিলো তাকে রাস্তায় ফেলে চলে যাওয়ার। কী নিষ্ঠুর চিন্তা, কী নিষ্ঠুর সিদ্ধান্ত! মেয়েটি তার কিছুই জানতে পারলো না।

১১ বছর বয়স তখন তার। হঠাৎ একদিন তার নানি তাকে বললো, ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাব। নিয়ে আসলো ঢাকায়। কোনো এক রাস্তায় তাকে দাঁড় করিয়ে নানি বললো, তুমি এখানে দাঁড়াও আমরা আসতেছি। সেই যে গেলো আর ফিরলো না। শারমিন সকাল থেকে দাঁড়িয়ে থাকলো বিকেল পর্যন্ত। অপেক্ষা আপনজনের। তারা আসবে, তাকে নিয়ে যাবে; কিন্তু কেউ আর ফিরলো না। বাবা-মা দু’জনকে হারানোর পর যখন চোখের আলোটাও হারিয়ে ফেললো, তখন নানিই ছিল তার সব কিছু, তার শেষ সম্বল। শেষ পর্যন্ত সেই সম্বলটাও হারিয়ে ফেললো শারমিন। অথৈ সাগরে ডুবে যাওয়া জাহাজের যেন বেঁচে যাওয়া কোনো যাত্রী। যার চারপাশে, অথৈ পানি। আপন বলতে কেউ নেই।
‘প্রচুর মানুষ আমাকে দেখছিল। এখন যেমন আমাকে দেখলেই অন্ধ মনে হয়, তখন ততটা মনে হতো না। রাস্তার এক জায়গায় সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকার কারণে মানুষ বুঝতে পারলো, কোনো একটা সমস্যা। তখন অনেকেই এলো। ভিড় জমালো। আমাকে জিজ্ঞাসা করলো, এখানে এভাবে দাঁড়িয়ে আছি কেন?’- এভাবেই ওই সময়টার অনুভূতি ব্যক্ত করলো শারমিন।

শারমিন এবার লোকদের জানালো তার করুন কাহিনি। মা-বাবা নেই, দৃষ্টি শক্তি নেই। নানিও এখানে রেখে আসছে বলে আর আসেনি। শারমিনের দায়িত্ব তখন এক ব্যক্তি নিতে চাইলো। কিন্তু সে ভরসা পেলো না। তার সাথেও গেলো না। যদিও খানিক পর এক মহিলা তাকে বললো, তার কোনো বাচ্চা নেই। নিজের মেয়ের মতো করেই রাখবে। সেই মহিলা শারমিনকে নিয়ে গেলো তার বাসায়। যদিও পরে মেয়েটি বুঝতে পারে, তাকে নিয়ে আসা হয়েছে একটি বস্তি এলাকায়। যেভাবে রাখবে বলে এনেছিল, সেভাবে রাখলো না।

সেখানেই মোহাম্মদপুর আইডিয়াল কলেজের এক শিক্ষকের নজরে পড়েন শারমিন এবং তাকে সেখান থেকে নিয়ে আসেন নিজের বাসায়। ওই শিক্ষকের বাসাতেই ভালোভাবে কাটছিল শারমিনের। তবে তার তো পড়া-লেখা প্রয়োজন। চোখের আলো নেই। তাতে কি! শিক্ষার আলোয় শিক্ষিত হতে পারলে মনের আলো বেড়ে যাবে। সেই মনের আলোয় হয়তো নিজের পৃথিবীটাও আলোকিত করে তুলতে পারবে শারমিন।

এ জন্যই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় মিরপুরে একটি অন্ধ স্কুলে। কিন্তু সেখানে ভর্তি করানো সম্ভব হয়নি। পরে নিয়ে আসা হলো, আদাবরে ইমাম ফাউন্ডেশন নামে অন্ধ মেয়েদের জন্য পরিচালিত একটি আবাসিক স্কুলে। সেখানেই আরও ২৪-২৫ জন অন্ধ মেয়ের সঙ্গী হলো শারমিন। এখান থেকেই নিজের জীবনের আলো খুঁজে নেয়ার চেষ্টা করছে চির অসহায় মেয়েটি। এখানে পড়ছে সাধারণ শিক্ষায়, পঞ্চম শ্রেণিতে।

যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শারমিনসহ ২৫-২৬টি অন্ধ মেয়ে আবাসিক হিসেবে থেকে নিজেদের পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছে, সেই প্রতিষ্ঠানের তিন তলার সিঁড়ি বেয়ে ওঠার পর ডান পাশে মোড় ঘুরতেই চোখে পড়বে পারস্য কবি ওমর খৈয়ামের বিখ্যাত সেই বাণী, ‘রুটি মদ ফুরিয়ে যাবে, প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে আসবে, কিন্তু বইখানা অনন্ত- যৌবনা- যদি তেমন বই হয়...।’ কিন্তু আমরা চক্ষুষ্মানরা যে সব বই পড়ি, সেগুলো পড়ার কোনো সুযোগ নেই শারমিনদের। অন্ধদের জন্য তৈরি ব্রেইল পদ্ধতিতে পড়ালেখা করে তারা জাগিয়ে তুলতে চায় মনের আলো। সেই আলোয় আলোকিত করতে চায় পৃথিবীকে।

পারবে কি শারমিন আক্তার? যে ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে এখন জীবনটা একটা স্বপ্নময় বাস্তবতার দিকে এগিয়ে চলছে, সেই ফাউন্ডেশনও চলছে মানুষের অনুদানে। যা অকেটাই অপ্রতুল। দৃষ্টিশক্তির প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ হারিয়ে ফেলা এক হৃদয়বান ব্যক্তি, সাইয়েদ ইমাম হাছান ইমামের ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে ওঠা ইমাম ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে রয়েছে অন্ধ ২৬টি মেয়ে।

তাদেরকে আলো দেখানোর নিরবচ্ছিন্ন কাজ করে যাচ্ছে ফাউন্ডেশনটি। পরিচালক সাইয়েদ ইমাম হাছান ইমাম এই প্রতিষ্ঠানের অন্ধ মেয়েগুলোর বাবা, তার স্ত্রী মেয়েগুলোর মা। এমন বাবা-মায়ের তত্ত্বাবধানে থেকে শারমিনরা হয়তো অনেকদুর এগিয়ে যাবে। তবে, একই সঙ্গে সরকার এবং সমাজের হৃদয়বান ব্যক্তিদেরও তাদের এই অসাধারণ উদ্যোগের সহায়তায় এগিয়ে আসা প্রয়োজন। তাহলে হয়তো বা শারমনিদের মতো আরও অনেক অসহায় অন্ধ মেয়ে খুঁজে পাবে তাদের জীবনের আলো।

Sunday, June 10, 2018

মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, ৮ ও ৯নং সেক্টরের রাজনৈতিক উপদেষ্টা এখলাছ উদ্দীন এবং জেষ্ঠ সন্তানের রক্তে রন্জিত হবে নবগঙ্গা...!

যে শহীদদের চোখে দেখিনি শুধু মহান ত্যাগের গল্প কাহিনী পড়ে জানতে পেরেছি, তাদের প্রতি আমার ঠিক ৭৫ এর ১৫ই আগষ্টে ঘটে যাওয়া এবং ৩ রা নভে বদ্ধ জেলের প্রকোষ্ঠে নিহত জাতীয় ৪ নেতার প্রতি নিবিষ্ট সকল শ্রদ্ধা ও ভক্ত এবং সমবেদনা সমমানের। এক এক সময় ভাবী বোধ হয় ওরকম মৃত্যুর মাঝে এক অনন্ত আত্ম তৃপ্তি ছিল। এ নষ্ট ভ্রষ্ট নিকৃষ্ট হীন মন মানসিকতায় ভরিপুর সমাজ ও রাজনীতিকে প্রতিষ্ঠার জন্য শহীদরা তাদের সোনালী দিনের সূর্যকে ডুবিয়ে দেয়নি। এ অনিয়মতান্ত্রিক অব্যবস্থা দুর্নীতি স্বজনপ্রীতির জন্য আমরা যুদ্ধে যাইনি। আর জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু, জাতীয় ৪ নেতা এবং এখলাস উদ্দিন স্যারদের সারা জীবন জেল জুলুম নির্যাতন সহ্য করার মূল লক্ষকে সারাদিন মূখে জয় বাংলা বলে গগন ফাটালেও বক্ষে ধারন করিনি। আমরা আসলেই জাতীয় জননেতা মহান স্বাধীনতার সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ ৪০ হাজার মা বোনের সাথেই বেঈমানী করছি কিন্তু মূখে মুজিববাদ প্রতিষ্ঠার মিথ্যে আস্ফালন করছি। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মান করছি না বরং তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে ঠিক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনার নামে সব ভন্ডামী ও প্রতারনা করছি। স্বয়ং আওয়ামী লীগের ভিতরেই এখন সে ৭১ এর পাক হায়েনার বীজ এবং খন্দকার মোস্তাকের প্রেতাত্ত্বা ঘাপটি মেরে বসে আছে। আমরা কিছুই করতে পারছি না। না পারছি নৌকা আওয়ামী লীগ ছাড়তে না পারছি একান্তভাবে কষে ধরতে। আমরা কোথায় যাবো? মোকতেল হোসেন মুক্তি 
*****************


আজ এগারোই জুন, বাবা ও বড় ভাইয়ের ৩৪তম মৃত্যু বার্ষিকী। এখন রাত বারোটা, এ রাতে আমার ঘুম আসেনা। কিছুক্ষণ পরেই ঘটে যাবে আমার ও আমাদের পরিবারের জন্য বেদনাদায়ক মর্মান্তিক দুঃর্ঘটনাটি। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, ৮ ও ৯নং সেক্টরের রাজনৈতিক উপদেষ্টা এখলাছ উদ্দীন এবং জেষ্ঠ সন্তানের রক্তে রন্জিত হবে নবগঙ্গা...!
এখলাছ উদ্দিন মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করেছিলেন, পাকহানাদার বাহিনী ও রাজাকারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন এবং সে যুদ্ধে জয়ী হয়ে বীরের বেশে দেশে ফিরে এসেছিলেন। সর্বশক্তি দিয়ে আত্মনিয়োগ করেছিলেন দেশকে সোনার বাংলায় পরিনত করার জন্য। বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেছিলেন দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি। কিন্তু ততোদিনে বাংলার আকাশ ঘন কালো মেঘে ঢেকে গেছে। বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধের অতন্দ্র প্রহরীরা দেখেছিলেন সে ঘন কালো মেঘ, কিন্তু তার ভয়াবহতা, বিভৎষ্যতা অনুধাবন করতে পারেননি । আমলে নেননি সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত দেশে প্রতিবিপ্লবী শক্তির উত্থান। এই উদারতা বা ভুলের জন্য বঙ্গবন্ধু শুধু নিজের রক্ত দিয়ে নয়, পুরা পরিবারের এবং সারা জীবনের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহচরদের রক্ত দিয়ে সে ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করেছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু পরবর্তী বাবা আরো দশটি বছর বঙ্গবন্ধুর সেই দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি ধারণ করে বেচে ছিলেন। কিন্তু তার সে জীবনটা ছিলো কঠিন এক সংগ্রামী জীবন এবং তিনি সংগ্রাম করেছিলেন সেই স্বাধীনতা বিরোধী পরাজিত প্রতিবিপ্লবী অপশক্তির বিরুদ্ধে। আপোষ করেননি, তবে করতে পারতেন। আপোষ করলে এখলাছ উদ্দীনকে হয়তো এভাবে স্বপুত্র মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করতে হতোনা, বেচে থাকতেন এবং নিজ পুত্রের লাশ কোলে নিয়ে মৃত্যুর জন্য নবগঙ্গার বালু তীরে অপেক্ষা করতে হতোনা।
না, এখলাছ উদ্দিন রাজনীতি ছাড়েননি এবং আপোষ বা মোস্তাকের আবরণও পরেননি। টিমটিম করে জ্বলা রাজনীতির সে মশালটি তিনি বহন করেছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি স্বৈরাচারী সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে তৎকালীন পনেরো দলের প্রায় প্রতিটি জনসভায় তিনি বঙ্গবন্ধুর সেই দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি বর্ননা করতেন। মানুষও মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনতেন তার সেই বক্তব্য এবং জানার ও বুঝার চেষ্টা করতেন সেই অজানা আদর্শকে। অথচ এখলাছ উদ্দীন বঙ্গবন্ধু ঘোষিত বাকশালের দায়িত্বশীল কোনও পদে ছিলেন না, তিনি ছিলেন পদাধিকার বলে(সংসদ সদস্য) বাকশালের একজন সাধারণ সদস্য। বঙ্গবন্ধু জানতেন দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি, তৎকালীন আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রেক্ষাপটে কতটা বিপদজনক। আমলে নেননি। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু পর এখলাছ উদ্দীনও জানতেন সে বিপদের কথা। কিন্তু তিনিও আমলে নেননি। বঙ্গবন্ধুর সে রাজনীতির মশালটি নিয়ে সামনে এগিয়েছেন। তিনি জানতেন স্বাধীনতা বিরোধী পরাজিত প্রতিবিপ্লবী শক্তি তাকে হত্যা করবে। পিছু হটেননি, জ্বালিয়ে রেখেছিলেন টিমটিম করে জ্বলা রাজনীতির সে মশালটি। 
আওয়ামী রাজনীতির সে মশালটি বার বার জ্বলে উঠেছে। একানব্বই সালে ষড়যন্ত্রকারী প্রতিবিপ্লবী শক্তি আবারও আওয়ামী রাজনীতিকে পরাজিত করতে সক্ষম হয়। কিন্তু ছিয়ানব্বই সালে রাজনীতির সে মশালটি দাবানলের মতো ষড়যন্ত্রকারীদের ধংস করে দেয়। ফিরে আসে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়, এবং প্রাণ ফিরে পায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। শুরু হয় বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার হত্যার বিচার প্রক্রিয়া এবং সেটা ছিলো এক অসাধ্য সাধন। বিচারহীন সমাজকে আইনের আওতায় আনা কঠিন বাস্তবতা। আবারও ফিরে আসে পঁচাত্তর দুইহাজার এক সালে এবং শুরু হয় আওয়ামী লীগকে ও তার রাজনীতিকে ধংস করার প্রক্রিয়া। কিন্তু ততোদিনে আওয়ামী লীগের শরীরের তৈরী হয়ে গেছে এন্টিবডি। তাকে ধংস করা যায়নি। আওয়ামী রাজনীতির সে মশালটি দাওদাও করে আবারও জ্বলে উঠে। সে আগুনে স্বাধীনতা বিরোধী প্রতিবিপ্লবীরাজাকারদের ঝুলতে হয় ফাসীর কাষ্ঠে, আর এখন ধংসের দ্বারপ্রান্তে। তবে ষড়যন্ত্রকারীরা বসে নেই। বর্তমান রাজনীতি বুঝতে হলে আমাদেরকে ফিরে তাকাতে হবে স্বাধীনতা পরবর্তী যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের তথা আআওয়ামী রাজনীতির দিকে। আওয়ামী লীগের আদর্শবাদী রাজনীতি তখন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে । ক্যান্সার জীবাণু শরীরের সুস্থ কোষগুলিকে নিজেই খেয়ে ফেলে এবং আওয়ামী লীগের দেহের তখন নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ক্যান্সার জীবাণু, বাংলার আকাশ ঘন কালো মেঘে ঢেকে গেছে, চারিদিকে দূর্যোগের ঘনঘটা। তার ভয়াবহ পরিনতি পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট এবং প্রতিবিপ্লবী স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির ক্ষমতায় ফিরে আসা।
আওয়ামী লীগের নেতাদের আহ্বান জানানোর ধৃষ্টতা আমার নেই, নিধিরাম সর্দারের মতো অনুরোধ করছি প্লিজ আপনারা রাজনীতি করুণ। রাজনীতি ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে নিজের শরীর তারা নিজেরা খেয়ে ফেলে। তবে এটা স্বাধীনতা পরবর্তী বা পঁচাত্তর পরবর্তী সময় নয় এবং এটা দুই হাজার আঠারো সাল। বিশাল ব্যবধান। যুগটি ডিজিটাল। রাজনীতিকে ক্যান্সার জীবাণু থেকে মুক্ত করা খুব সহজ, প্রয়োজন শুধু সদিচ্ছার। বিজ্ঞান -প্রযুক্তি নির্ভর প্রতিষেধক প্রয়োগ করুণ এবং ধারণ করুন নুতন দর্শন, নুতন চেতনা যার থাকবে একটা সৌন্দর্য। যুগে যুগে আওয়ামী রাজনীতি সেটা ধারণ করেছে। আওয়ামী লীগ তার জন্মলগ্ন থেকেই নুতন দর্শন, নুতন চেতনা নিয়ে জনগণের সামনে এসেছে, জনগণ তাকে বিমুখ করেনি এবং ভবিষ্যতেও বিমুখ করবেনা।
ভোর হতে আর বেশি দেরি নেই। কিছুক্ষণের মধ্যে বাবা বড় ভাইকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে পড়বেন...আপনজনেরা তখনও ঘুমিয়ে আছে, আর নবগঙ্গার বালুর চরে রক্তাক্ত সন্তানের লাশ বুকে নিয়ে শুয়ে আছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বীর মুক্তযোদ্ধা আমার বাবা... আমরা শোকাহত .... তুমি রবে নিরবে হ্নদয়ে মমো !!! 


Sheikh Nadim Mahmud মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, নড়াইল জনপদের রাজনীতির মহান শিক্ষক শহীদ এখলাছ উদ্দিন আহমেদ এর শাহাদত বার্ষিকী তে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
Snehangshu Roy আমার আন্তরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি 🙏🏻
Ibrahim Bsl বঙ্গবন্ধুর ছোয়া যাদের জীবনে ভালবাসার নিড় বেধেছিল শহীদ এখলাছ উদ্দিন আহমেদ তাদের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ সিপাহসালার টুনু ভাই ও সেই আদলে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য তৈরি হতে না হতে পাড়ি দিলেন পর পারে বাবার হাত ধরে। নড়াইলের মানুষ আজীবন এই শোককে শক্তিতে পরিনত করবে জননেত্রী শেখ হাসিনা ভালবাসায় সিক্ত হয়ে আপনাদের নেতৃত্বে। বিনম্র শ্রোদ্ধা জানাই মরহুমদের আত্বার মাগফিরাতের মাধ্যমে।
Mag Saifuzzaman Sheikh বিনম্র শ্রদ্ধা ! আজকের সমাজে জন্ম নিক এখলাছ ভাইয়ের মত নেতা । জয় বাংলা।

Hm Lakberl গভীর শ্রোদ্ধার সাথে স্বরন করি,
মহান আল্লাহ তালার কাছে শহীদের আত্নার মাগফেরাত কামনা করি মহান আল্লাহ যেন শহীদের কে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করেন,আমিন
Shaik Mohemmed Fazlul Karim আল্লাহ উনাদের জান্নাতে স্থান দিন আমিন

Mohammed Alfatul Kabir বিনস্র শ্রদ্ধাঞ্জলি.আল্লাহ উনাদের জান্নাতে স্থান দিন আমিন
M M Kamruzzaman Kamrul গভীর শ্রোদ্ধার সাথে স্বরন করি,
মহান আল্লাহ তালার কাছে শহীদের আত্নার মাগফেরাত কামনা করি মহান আল্লাহ যেন শহীদের কে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করেন,আমিন
শাহরিয়ার বাপ্পী এদেশে মুখে মুখে থাকার কথার ছিল বঙ্গবন্ধুর আদর্শের গল্প। অথচ বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর যারা এটি করবেন সেই আদর্শের মানুষগুলোকেও পর্যায়ক্রমে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে চিরতরে মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে বারবার। ভয় হয় তেলবাজ তল্পিবাহকদের বেদম বাড়াবাড়িতে একদি...See More
Sayed Anisur Rahman নড়াইল জেলাতে এমন বীর আর হবে না!মুসলিম লীগ করা তার বিরোধী রাজনিতিবিধ রাও তাকে যে সম্মান আর শ্রদ্ধা করেগেছেন তা বলে বোঝানো যাবে না!কিন্তু কিছু মানুষ আছে যারা আদোতে পশুদল! তারা এই মহান মানুষ টাকে কি নির্মমভাবে হত্যা করেছে!!আহ!আল্লাহ্‌ তাকে স্বপুত্রক জান্নাত দান করুন।
Md Jasim Uddin Kanak ইতিহাসের মহান বীরের প্রতি বিনস্র শ্রদ্ধা।আল্লাহ উনাদের জান্নাতবাসী করুন আমিন
Tofaiel Mahmud ইতিহাসের মহান বীরের প্রতি বিনস্র শ্রদ্ধা।আল্লাহ উনাদের জান্নাতবাসী করুন আমিন
Md Biplob Sikdar বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই ও তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি, আল্লাহ রববুল আলামিন তাঁকে বেহেস্ত নসীব করুন, আমিন।

Moniruz Zaman Moni গভীর শ্রদ্বার সাথে স্মরন করছি রাজনৈতিক গুরু তোমায়। যে জাতি বঙ্গবন্ধুকে প্রকৃত মর্যাদা দিতে পারলনা, সে জাতি তোমাকে কি মর্যাদা দিবে? বঙ্গবন্ধু ছিলেন পুরা জাতির বঙ্গবন্ধু, আর তুমি ছিলে নড়াইলের বঙ্গবন্ধু। আর সে জন্যই তোমাকেও পরিবারের আদর্শ সন্তানকে নিয়ে মৃত্যু বরন করতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধু তথা তোমার আদর্শ নিয়ে সবাই বেচে থাকুক, তোমার মৃত্যু দিবসে এই হোক আমাদের শপথ।।
 
Khandker Maksud Hassan Kollayan সৃষ্টিকর্তা বেহেস্ত দান করুন।
আমিন।
Abdus Sattar বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। আল্লাহপাক যেন দুজনকে বেহেস্ত নছিব করেন আমিন।
Abdullah Fosiar Abdullah গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
Nakib Rahman সত্যি তিনি অনেক মহান আমি তাঁর মৃত্যু বার্ষিকীতে গিয়েছিলাম কাকার কাঁধে চড়ে কালিয়া পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে HPM ও গিয়েছিলেন। আমি একদিন সচিবালয়ে ডিউটি করি তখন এক বৃদ্ধ পিয়ন আমাকে বলছিলেন স্যার আপনার বাড়ী কোন জেলায় আমি বল্লাম নড়াইল কালিয়া থানা তি...See More
Nakib Rahman যারা অজ্ঞানী মূর্খরা সঠিক সত্য কেও মেনে নিতে পারে না।
Shipon Sohag বিনম্র শ্রদ্ধা মুক্তিকামী বীরসন্তান বাংলা মায়ের শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ এখলাস উদ্দিন ও তার সন্তানের মহান স্মৃতির প্রতি!
নিয়ে এসেছিলে মৃত্যুহীন প্রাণ
মরণে তাহা'ই করে গেলে দান!!
Saifuzzaman Saif বিনম্র শ্রদ্ধা
মহান আল্লহতালা উনাদের জান্নাতবাসী করুন আমিন...

NI Khan আমারা গভীর ভাবেশোকাহত।নড়ালই বাসির আজ একটি কলংকিত দিন। আজ এইদিনে হারিয়েছি আমামাদের মহান নেতা কে। প্রিয় নেতা কে গভীর শ্রদ্বার সাথে স্বরন করি। মহান সৃষ্টির্কতার কাছে প্রার্থনা তুমি মহানকে তার শ্রেষ্টপ্রাপ্তি দানকরো।
Khan Jahangir Alam বিনম্র শ্রদ্ধা রইলো এবং তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি, আমিন।।
Mohammad Alamgir Hossain খুবই দুঃখজনক ঘটনা।
তাদের বিদেহী আত্নার মাগফেরাত কামনা করছি। 
তারা মরে গিয়েও আমাদের মাঝে বেচেঁ থাকবেন আজীবন।
F M Amirul Islam বিনম্র শ্রদ্ধা।

Wobaidur Rahman গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধের এই সংগঠক আপনার শহীদ পিতা ও ভাইকে। আল্লাহুতালা এই মহান শহীদদের জান্নাতুন ফেরদাউস দান করুন। আমিন।
Mollah Obayedullah Baki I salute both the heroes who did lot for the nation . We pray for his eternal peace.

Kartik Das দক্ষিণবঙ্গের আপোষহীণ জননেতা কালো মানিক ,জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর,মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকসহ খান সেনাদের সঙ্গে সম্মুখ সমরে যুদ্ধ করা মানুষটিকে বিনম্র শ্রদ্ধা অার শতকোটি প্রণাম জানাই । বন্ধু টুনুকেও সম্মান জানাই । সেই দিনগুলির কথা মনে পড়ে । ৭০ দশকের দি...See More
Molla Lutfor Rahman গভীর শ্রদ্ধা ও মমতায় স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আদর্শিক নেতাকে।
আল্লাহ্‌ যেন বেহেস্ত নসিব করেন মহান পিতা উনার প্রিয় সন্তানকে।
গভীর বিশ্লেষণ ধর্মী বাস্তব পরিস্থিতির আলোকে লিখিত এই আলেখ্য গ্রহণ করছি নির্দিধায়।...See More
Enamul Hoq গভীর শ্রদ্ধা জানাই এই বীরের স্মৃতির প্রতি। মহান আল্লাহ্ শহীদান দের বেহেস্ত নছিব করুণ ---------------- আমিন।

Zahirul Islam মহান আল্লহতালা উনাদের জান্নাতবাসী করুন। আমিন।
Shafiqul Islam তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। এই দিনটির কথা আমার খুব মনে পরে। ঘটনাটি যখন ঘটে তখন আমরা মস্কোতে ছিলাম। হতবাক হয়ে , আপনার এই মর্মান্তিক দুঃখজনক ঘটনায় আপনাকে সান্তনা দেওয়ার ভাষা আমার ছিলোনা।
Prince Nazmul আমরা এ দিন হারিয়েছি মুক্তিকামী বীর শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ এখলাছ উদ্দিন আহম্মেদ ও তার বড় সন্তান টুনু ভাইকে। আজ তাদের গবীর শ্রদ্বার সাথে স্বরন করি।
MdAnamul Kabir Sikder বিনম্র শ্রদ্ধা রইলো। বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি, আমিন।।
Pronab Roy বিনম্র শ্রদ্ধা রইলো এবং তাঁদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি"।
Md Isanur Mollah আমরা আপনার পরিবারের সাথে সমব্যথী ও গভীরভাবে শোকাহত। নড়াইলের এই জনপদের রাজনীতিতে মরহুম শহীদ এখলাছ উদ্দীনের স্হান কোনদিনই পূরন হবার নয়। ৭১ এর পরাজিত ঘাতক দালালরা সেদিন হত্যা করেছিল তাকে এবং তার পুএকে। ঘাতকরা হত্যা করতে চেয়েছিল বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে কিন্তু ...See More
Arafat Narail Bsl বিনম্র শ্রদ্ধা রইলো এবং তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি, আমিন।।

Chanchal Shahriar Mim মাতৃভূমিকে স্মরণ করে মনে মনে বললাম মাগো তোর পায়ের শৃঙ্খল মোচন করতে আমার সামান্য ক্ষমতার আওতায় এমন কোনো ত্যাগ নেই যা আমি স্বীকার করতে রাজি নই, প্রাণতো সেখানে তুচ্ছ্ব________

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক,,...See More

Sudeb Mondal Govir shrodha Bir shohid der jonno...

MD Sirazul Alam Khan Amader o mone pore.Almighty Allah behest nasib korun.
Basu Sikder অামার প্রিয় নেতার মহা প্রয়ান দিবস এ শশ্রদ্ধা সালাম।

Gopal Ray বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। আমার রাজনৈতিক গুরু মরহুম একলাজ উদ্দিন সাহেব এবং তার জৈষ্ঠ পুত্রের নৃশংস হত্যাকাণ্ড আমাকে দারুণ ভাবে ব্যথিত করে। পঁচাত্তর পরবর্তী আওয়ামী লীগ কালের চক্রে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। আমি আমার লিডার এর সাথে থেকে তাঁর সান্নিধ্য লাভের চেষ্টা করেছি এবং বাকশালে যাবতীয় কার্যক্রম অংশগ্রহণ করেছি। তাই এই দিনের নবগঙ্গার তীরের সেই বিভৎস চিত্র আমার হৃদয় থেকে কোনদিন মুছে যাবে না। জয় বাংলা।

Moktel Hossain Mukthi যে শহীদদের চোখে দেখিনি শুধু মহান ত্যাগের গল্প কাহিনী পড়ে জানতে পেরেছি, তাদের প্রতি আমার ঠিক ৭৫ এর ১৫ই আগষ্টে ঘটে যাওয়া এবং ৩ রা নভে বদ্ধ জেলের প্রকোষ্ঠে নিহত জাতীয় ৪ নেতার প্রতি নিবিষ্ট সকল শ্রদ্ধা ও ভক্ত এবং সমবেদনা সমমানের। এক এক সময় ভাবী বোধ হয় ওরকম...See More

GS Palash বিনম্র শ্রদ্ধা রইলো এবং তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি, আমিন।।

Goutom Sutrodhor এই।দিনটা।নড়াইল।বসি।জন্য।কালো দিন।

Moktel Hossain Mukthi https://national4leaders.blogspot.com/আপনার লেখাটি আমার এই ব্লগে আপনার অনুমতি ছাড়াই দিলাম। দেখবেন হয়তো ভালো লাগবে এবং প্রচার হবে হয়তো।

NATIONAL4LEADERS.BLOGSPOT.COM

Thursday, May 10, 2018

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের কতটুকু আপনার জানা?




বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের কতটুকু আপনার জানা। আপনি জেনেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মেনে চলেন নাকি অন্যের নিকট শুনে বিশ্বাস আত্মবিশ্বাসে মুজিবসেনা বলে নিজেকে দাবী করেন? 
একটু সময় নিয়ে মিলিয়ে নিন।

১৯৩৮-১৯৭৫ পর্যন্ত। জন্ম: ১৯২০ সালের সতের মার্চ ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে। 
১৯৩৮ সালে তৎকালীন বাংলার শ্রমমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সাথে পরিচয় ও সাহচর্য লাভ।
" " মিথ্যা অভিযোগে প্রথম বারের মত গ্রেপ্তার, সাতদিন পর জামিন লাভ।
১৯৩৯ সালে সোহরাওয়ার্দীর সাথে কলকাতায় যোগাযোগ, গোপালগঞ্জ মুসলিম ছাত্রলীগ ও মুসলীম লীগ গঠন। শেখ মুজিব সাধারণ সম্পাদক হন।
১৯৪১ সালে ম্যাট্রিক পাশ।
" " কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে র্ভতি।
১৯৪৩ সালে প্রাদেশিক মুসলিম লীগ কাউন্সিলের সদস্য হন।
১৯৪৬ সালের নির্বাচনে মুসলীম লীগের পক্ষে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেন। সোহরাওয়ার্দী সাহেব প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
১৯৪৬ সালের জুলাইয়ে কলকাতা ও বিহারে হিন্দু মুসলমান দাংগা বন্ধে ও আহতদের পূর্নবাসনে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন।
১৯৪৭ এ পাকিস্তান ভাগের সময় আসামের জেলা সিলেটকে বাংলাদেশে রাখার বিষয়ে গনভোটে সক্রিয় কার্যক্রম চালান।
" " ব্যারাক পুরে মহাত্মা গান্ধীর সাথে সাক্ষাত, তাকে কলকাতা-বিহার দাংগায় তোলা নৃশংস হত্যাকান্ডের ছবি এলবাম আকারে উপহার প্রদান।
" " কলকাতা ত্যাগ, ঢাকায় আগমন।
" " ঢাকায় কনফারেন্স, যুব প্রতিষ্ঠান গড়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত, নাম গণতান্ত্রিক যুবলীগ, সাবজেক্ট কমিটি গঠন। শেখ মুজিব কমিটির সদস্য। পরবর্তীতে কমিউনিস্টদের
অনৈতিক সংখ্যাধিক্য ও বাড়াবাড়ির কারণে শেখ মুজিব সহ মুসলিম লীগ পন্থীরা সংগঠন ত্যাগ করেন।
১৯৪ সালের ৪ জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ গঠন। (তখনও মুসলিম লীগের সদস্য থাকায় নিজে দায়িত্ব নেননি, তবে তিনিই প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন) নইমউদ্দিন কনভেনর হলেও মুল দায়িত্ব ছিল
বঙ্গবন্ধুর উপর। এক মাসের মধ্যে প্রায় সকল জেলায় কমিটি গঠন।
"" " মুসলিম লীগ ত্যাগ।
১৯৪৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী করাচিতে পাকিস্তান সংবিধান কমিটির সভায় উদুর্কে রাষ্ট্রভাষা করার ব্যাপারে আলোচনা। পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের প্রতিবাদ সভা।
" " পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ ও তমদ্দুন মজলিসের যুক্ত ভাবে রাষ্ট্রভাষা বাংলা সংগ্রাম পরিষদ গঠন।

" " ফরিদপুর, যশোর হয়ে দৌলতপুর, খুলনা ও বরিশাল সহ জেলায় জেলায় ছাত্রসভায় বক্তব্য প্রদান করেন।

" " ১১ মার্চ বাংলা ভাষা দিবস পালনের দায়ে মিছিলে লাঠিচার্জের শিকার ও দ্বিতীয় বারের মত গ্রেপ্তার হন। পাঁচদিন জেলে থাকেন।

" " ১৫ তারিখ মুক্তি লাভ, ১৬ তারিখ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ ছাত্রসভায় প্রথমবারের মত সভাপতিত্ব করেন।

" " টাংগাইলে দুটো আইনসভার আসন খালী হওয়ায় মুসলীম লীগের বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য মওলানা ভাসানীর সাথে আলোচনা। মওলানা ভাসানী খাজা নাজিমউদ্দীনের সাথে বোঝাপড়ার মাধ্যমে নির্বাচন করেন। পরে মওলানা ভাসানীর আসন নির্বাচনী হিসেব দাখিল না করার অপরাধে বাতিল হয়।

" " টাংগাইল ও নারায়ন গন্জে মাওলানা ভাসানীর সভাপতিত্বে সভা। শহীদ সোহরাওয়ার্দী সাহেবের ঢাকায় আগমন ও বিভিন্ন জায়গায় সভা।

১৯৪৯ সাল

বিশ্ববিদ্যালয়ে নিন্ম বেতনভোগী কর্মচারীদের আন্দোলনে সংহতি ও সহযোগিতা

**** আন্দোলনে জড়িত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কৃত

**** পুরোনো লীগ কর্মী ও নেতাদের সাথে আলোচনা। নতুন দল গঠন করা যায় কিনা এ ব্যাপারে। নেতার সংকট। আসাম ফেরত মওলানা ভাসানীর সাথে আলোচনার সিদ্ধান্ত। আসাম ময়মনসিংহ, পাবনা ও রংপুরে তিনি পরিচিত হলেও পূর্ব বাংলার সাধারণ জনগণ তাকে তেমন জানতনা। কারণ তিনি বেশিরভাগ সময় আসামেই কাটিয়েছেন। মুসলীম লীগের নেতা হিসেবে আসামের বাংগাল খেদাও আন্দোলনের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছিলেন। অন্যদিকে সীমান্ত প্রদেশে পীর মানকি শরীফ আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে সংগঠন গঠন করেছেন।

*** ছাত্রলীগের কনভেনর নইমউদ্দিন বন্ড দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রত্ব ফেরত। সভার মাধ্যমে তাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কার। (সম্ভবত শেখ মুজিব ছাত্রলীগের সভাপতি হন আমি নিশ্চিত নই) শাস্তিমুলক বহিস্কার প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আন্দোলনের ঘোষনা।

*** টাংগাইল উপনির্বাচনে শামসুল হককে প্রার্থী ঘোষনা (নিবার্চনে প্রথমবারের মত মুসলীম লীগের বিরুদ্ধে দাড়িয়ে তিনি জয়লাভ করেন)। একদিকে নির্বাচন অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন। দুদিকেই শেখ মুজিবের ব্যস্ততা।

***** ১৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘট, বিকালে ভাইস চ্যান্সেলরের বাড়ি ঘেরাও। ১৯ তারিখ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন।

*** নিবার্চিত হয়ে শামসুল হক ঢাকায় আসার পর ২৩ জুন হুমায়ুন সাহেবের রোজ গার্ডেনের বাড়িতে মুসলীম লীগের পুরোন কর্মীরা মিলে সভা করেন। অনেক পুরোন নেতা এবার মাঠে নামেন। যাদের মধ্যে শেরে বাংলা, মওলানা ভাসানী, মওলানা রাগীব আহসান এমএলএ দের মধ্যে খয়রাত হোসেন, আনোয়ারা খাতুন, আলী আহমদ খান, হাবিবুর রহমান যোগ দেন। শেখ মুজিব জেল থেকে খবর পাঠান "মুসলীম লীগের পিছনে ঘুরে লাভ নাই, তারা দলে নিতে চাইলেও আর যাওয়া উচিত হবেনা, ছাত্র রাজনীতি আর করবোনা, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানই করবো, কারণ বিরোধী দল না থাকলে এদেশে একনায়কত্ব চলবে।"

### কর্মী সভায় নতুন রাজনৈতিক প্রতিষ্টান গঠনের সিদ্ধান্ত। নাম: পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ। মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সভাপতি, শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক, শেখ মুজিবুর রহমান যুগ্ম সম্পাদক হন।

### জেল থেকে বের হওয়ার পর গোপাল গঞ্জে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে জনসভা। সরকারের বাধাঁ। ১৪৪ ধারা জারী, মসজিদ থেকে বঙ্গবন্ধু পুনরায় গ্রেফতার রাতে জামিন। আওয়ামী লীগ গঠিত হওয়ার পর ঢাকার বাইরে এটাই প্রথম জনসভা।

### (আইনের ছাত্র বঙ্গবন্ধু আর আইন পড়বেনা শুনে শুনে শেখ মুজিবের পিতা কষ্ট পান। তিনি বলেন, ঢাকায় না পড়তে চাইলে বিলেত গিয়ে পড়তে। যদি দরকার হয় জমি বিক্রি করে টাকা দিবে। বঙ্গবন্ধু বলেন, এখন বিলেত গিয়ে কি হবে, অর্থ উপার্জন আমি করতে পারবনা" । শেখ মুজিবের জেদ হয়েছিল মুসলিম লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে। যে পাকিস্তানের স্বপ্ন দেখেছিলেন তার উল্ট হয়েছে। এর একটা পরিবর্তন দরকার। পূর্ব পাকিস্তানের জন্য কিছুই নাই। সব পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শেখ মুজিবের পিতা বললেন, আমাদের জন্য কিছু করতে হবেনা। তুমি বিবাহ করেছ, তোমার মেয়ে হয়েছে তাদের জন্য তো কিছু করা দরকার। বঙ্গবন্ধু বললেন, আপনি তো আমাদের জন্য জমিজমা যথেস্ট করেছেন, যদি কিছু করতে না পারি বাড়ি চলে আসব। তবে অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া চলতে পারেনা। (শেখ মুজিবের স্ত্রী নিজে কষ্ট করেও শেখ মুজিবের জন্য সব সময় টাকা জমিয়ে রাখতেন। ইত্তেহাদের সাংবাদিক হিসেবে কিছু টাকা পেতেন। উনার অন্য কোন আয়ের উৎস ছিলনা। )

### ঢাকায় ফিরে ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলন করেন। ছাত্রলীগ থেকে অবসর।

### আওয়ামলীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় ম্যানিফেস্টো ও গঠনতন্ত্র নিয়ে কয়েকদিন ধরে আলোচনা। (শামসুল হক সাহেবের সাথে মাওলানা ভাসানীর তর্ক, শামসুল হক সাহেব মওলানা ভাসানীকে বলেন: এ সমস্ত আপনি বুঝবেন না। কারণ এ সমস্ত জানতে হলে অনেক শিক্ষার প্রয়োজন, তা আপনার নাই। )মাওলানা ভাসানীকে দায়িত্ব দেয়া হয়ে ওয়াকিঙ কমিটির সদস্য মনোনয়ন দেয়ার। তিনি এমন অনেককেই মনোনয়ন দেন যাদের চেনা জানা পর্যন্ত নেই।

### প্রতিষ্ঠানের কাজে আত্মনিয়োগ, জামালপুর মহকুমায় প্রথম সভা। ১৪৪ ধারা জারী। মাওলানা ভাসানী সাহেব বক্তব্য বাদ দিয়ে মোনাজাত শুরু করলেন। মোনাজাতে যা কিছু বলার বলে ফেললেন।### সভায় মাওলানা ভাসানীকে বাদ দিয়ে শামসুল হক সাহেবকে দিয়ে সভাপতিত্ব করানোয় মাওলানা ভাসানী রাগ করলেন। তিনি রাতে ভাত খাবেন না। তাকে নাকি অপমান করা হয়েছে। ( বঙ্গবন্ধু এ ব্যাপারে লিখেছেন: এই দিন আমি বুঝতে পারলাম মাওলানা ভাসানীর উদারতার অভাব। তবুও তাকে আমি ভক্তি শ্রদ্ধা করতাম। কারন তিনি জনগণের জন্য ত্যাগ করতে প্রস্তুত ছিলেন। যেকোন মহৎ কাজ করতে হেল ত্যাগ ও সাধনার প্রয়োজন। যারা ত্যাগ করতে প্রস্তুত নয় তার জীবনে কোন ভাল কাজ করতে পারে নাই।)

### ঢাকায় আরমানিটোলা ময়দানে জনসভায় বক্তব্য প্রদান।


### শামসুল হক সাহেবের সাথে মাওলানা সাহেবের মনমালিন্য শুরু হয় জামালপুরের ঘটনার পর থেকেই। মাওলানা সাহেব সুযোগ পেলেই একে তাকে শামসুল হক সাহেবের বিরুদ্ধে বলতেন। শামসুল হক সাহেবের বিয়ের দিন ঘনিয়ে আসছিল। তিনি বিয়ে নিয়ে ব্যস্ত থাকায় পার্টির সমস্ত দায়িত্ব শেখ মুজিবের কাধেঁ এসে পড়ে।

### ১১ অক্টোবর লিয়াকত আলী খান ঢাকায় আসবেন, শেখ মুজিব মওলানা ভাসানীর নামে সাক্ষাৎ করতে চেয়ে একটি টেলিগ্রাম দেন। টেলিগ্রামের উত্তর দেননি লিয়াকত আলী খান। সাংবাদিকদের বলেন আওয়ামীলীগ কি তিনি জানেন না। ### ১১ অক্টোবর আরমানীটোলায় বিরাট সভা আহ্বান করা হয়। শেষ বক্তা হিসেবে বঙ্গবন্ধু বক্তৃতা করেন। উনার আহ্বানে লিয়াকত আলী খানের উদ্দেশ্য মিছিল বের করা হয়। মিছিলে পুলিশ লাটিচার্জ ও টিয়ার গ্যাস ছাড়ে। শেখ মুজিব আহত হয়ে নদর্মায় পড়ে থাকেন। পড়ে উনাকে বেহুশ অবস্থায় মোগলটুলি অফিসে নিয়ে আসা হয়। সেখানে পুলিশ রাতে ঘেরাও করলে পালানোর জন্য আহত অবস্থায় তিনতলা থেকে দোতলায় লাফ দেন। কয়েকদিন এদিক সেদিক লুকিয়ে থাকেন। পরে ভাসানী সাহেব উনাকে পাকিস্তান যেতে বলেন সোহরাওয়ার্দী ও মিয় ইফতিখার উদ্দীনের সাথে দেখা করার জন্য। উদ্দেশ্য নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ গঠন। শেখ মুজিব পাকিস্তান যান। সেখানে সোহরাওয়ার্দীর সাথে দেখা করেন। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় বিবৃতি দেন। আওয়ামীলীগের কথা পত্র পত্রিকায় ছাপানো হয়।

##### পাকিস্তানে একমাস থেকে, দিল্লী হয়ে দেশে ফিরে আসেন। কলকাতায় ও গোপালগঞ্জে পুলিশের চোখ এড়িয়ে বাড়ি আসেন। (গ্রেফতারী পরোয়ান ঝুলছিল) । পরে বরিশাল নারায়নগঞ্জ হয়ে ঢাকায় আসেন। শওকত আলীর নিকট খবর পান মাওলানা সাহেব যাদের কার্যকরী কমিটির সদস্য করেছিলেন তাদের মধ্যে থেকে বার তেরজন ভয়ে পদত্যাগ করেছেন। অনেক পুরোন যারা ছিলেন তারা বিবৃতি দিয়ে পদত্যাগ করেছেন। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ও এডভোকেট জেনারেলের চাকরী নিয়ে আওয়ামীলীগ থেকে পদত্যাগ করেন। এসময় কয়েকজন ছাড়া আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আর তেমন কেউ রইলনা। বঙ্গবন্ধু আবদুল হামিদ চৌধুরীর বাড়িতে উঠেন। কয়েকদিন পর সেখান থেকে আবার গ্রেফতার হন। তখন ১৯৪৯ এর ডিসেম্বর। জেলে ভাসানী, শামসুল হক, শেখ মুজিব একই সেলে ছিলেন। আওয়ামী লীগের মেরুদন্ড গুড়িয়ে দিতে উঠে পড়ে লাগে সরকার।

#### ১৯৫০ সালের শেষের দিকে মাওলানা ভাসানী ও শামসুল হক মুক্তি পান। শেখ মুজিবকে গোপালগঞ্জ কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

১৯৫১ সালের শেষ দিকে আবার ঢাকা জেলে নিয়ে আসা হয়। অসুস্থ থাকায় জেল কর্তৃপক্ষ শেখ মুজিবকে হাসপাতালে রাখেন।(শহীদ সাহেব পুর্ব বাংলায় এসে ভাসানীর সাথে মিলে বিভিন্ন জায়গায় সভা করেন। বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্যও দাবী জানান।)

###লিয়াকত আলীর মৃত্যুর পর খাজা নাজিমউদ্দীন প্রধানমন্ত্রী হন এবং ১৯৫২ সালে তিনি পল্টনের এক জনসভায় উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষনা দেন। ছাত্রলীগ নেতারা শেখ মুজিবের সাথে গোপনে হাসপাতালে দেখা করেন। বঙ্গবন্ধু তাদের সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করতে বলেন।

###১৬ ফেব্রুয়ারী থেকে শেখ মুজিব ও মুক্তির দাবীতে অনশন করার ঘোষনা দেন। ১৫ ফেব্রুয়ারী শেখ মুজিবকে ফরিদপুর জেলে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ১৬ তারিখ থেকে অনশন শুরু করেন। খাওয়া দাওয়া সর্ম্পুন বন্ধ করে দেন। চার দিন পর জেল কর্তৃপক্ষ নাকে নল দিয়ে খাওয়াতে শুরু করে। ২৫ তারিখ ডাক্তার এসে পরীক্ষা করে মৃত্যুপথযাত্রী শেখ মুজিবকে দেখে মুখ কালো করে ফেলেন। ২৭ তারিখ শেখ মুজিবের মুক্তির আদেশ আসে। একটানা প্রায় আড়াই বছর জেলে কাটিয়ে তিনি মুক্তি লাভ করেন।

###এক মাস বাড়িতে কাটিয়ে ঢাকায় আসেন। আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটির সভায় শেখ মুজিবকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। মাওলানা ভাসানী ও শামসুল হক তখন জেলে ছিলেন। বাংলা ভাষা দাবী ও রাজবন্দীদের মুক্তির দাবী জানিয়ে প্রেস কনফারেন্স।

### পাকিস্তানে গিয়ে খাজা নাজিমুদ্দিনের সাথে সাক্ষাৎ। জেল বন্দিদের মুক্তি দাবী।

###পাকিস্তানে প্রেস কনফারেন্স করেন, সেখানে বলেন ত্রিশটা আসনে উপনির্বাচনে বন্ধ রয়েছে। যেকোন একটায় নির্বাচন দিতে বলূন। আমরা মুসলীম লীগ প্রার্থীকে শোচনীয় ভাবে পরাজিত করতে সক্ষম।

### শহীদ সাহেবের সাথে দেখা করেন এবঙ সেখানে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের এফিলিয়েশন নেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়।

### লাহোর থেকে ঢাকায়। ওয়ার্কিঙ কমিটির সভা আহ্বান। মাওলানা সাহেব অসুস্থ অবস্থায় জেলে। শেখ মুজিব জেলায় জেলায় সভা ও সংগঠন দৃড় করার কাজে নেমে পড়লেন।

## ২৪ সেপ্টেম্বর পিকিং এ শান্তি সম্মেলনে যাত্রা। দীর্ঘ চীন সফর শেষে ঢাকায় প্রত্যাবর্তন। মাওলানা সাহেব তখনও জেলে। পল্টন ময়দানে বিরাট জনসভায় বক্তব্য প্রদান।

#১৯৫৩ সালে শামসুল হক মুক্তি পেলেন। তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন। শেখ মুজিব তখন একাই কাজ চালিয়ে যেতে লাগলেন। জেলা উপজেলা ছাড়াও দেশের শতকরা সত্তর ভাগ ইউনিয়ন কমিটিও গঠিত হয়ে গেল। এরই মধ্যে মাওলানা ভাসানীও ছাড়া পেয়েছেন। এরপর আওয়ামীলীগের কাউন্সিল সভার আয়োজন শুরু হল।

## কাউন্সিলে মাওলানা ভাসানী সভাপতি, শেখ মুজিব সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৫৩ সালের মাঝামাঝিতে সাধারণ নির্বাচন ঘোষনা।
## শেরে বাংলা পুনরায় মুসলীম লীগে যোগ দেন।
### আওয়ামীলীগের একট গ্রুপ হক সাহেবের সাথে যুক্তফ্রন্ট করতে আগ্রহী হয়। ভাসানী বলেন হক সাহেব যদি আওয়ামীলীগে আসে তো আসতে পারেন। তবে তার সাথে কিছুতেই যুক্তফ্রন্ট করা চলবেনা। কারণ মুসলিম লীগ থেকে বিতাড়িতরাই তার সাথে তখন যোগ দিয়েছিল।
## ওয়ার্কিং কমিটির সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়। বেশির ভাগ সদস্যই যুক্তফ্রন্টের বিরুদ্ধে মত দেন। হক সাহেব আওয়ামীলীগে যোগ দিতে চেয়েছিলেন কিন্তু তার সংগীরা তাকে ভুল বোঝায়।
##ময়মনসিংহে আওয়মীলীগের ওয়ার্কিঙ কমিটির সভা হয়। শেখ মুজিব সহ বেশির ভাগ সদস্যই যুক্তফ্রন্টের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। শেখ মুজিব বলেন দেশে আওয়ামীলীগ ছাড়া আর কোন দল নেই। যুক্তফ্রন্ট করা মানে কিছু মরা লোককে বাচিয়ে রাখা। শহীদ সাহেব ও ভাসানী সাহেব ও যুক্তফ্রন্টের ঘোর বিরোধী ছিলেন। যুক্ত ফ্রন্ট হবেনা এ সিদ্ধান্তের পর শহীদ সাহেব পাকিস্তান গেলেন । শেখ মুজিব জেলায় জেলায় সভা করে বেড়াচ্ছেন। আর এদিকে ঢাকায় বসে মাওলানা ভাসানী শেরেবাংলার সাথে যুক্তফ্রন্ট সই করে ফেললেন। (যেখানে আওয়ামীলীগ একক ভাবে জিততে পারত সেখানে নেজামে ইসলাম পাির্ট, কৃষক শ্রমিক পার্টি, গনতান্ত্রিক দল সহ বিভিন্ন নামের সংগঠন যুক্তফ্রন্টের নামে নমিনেশন দাবীকরতে লাগল। যারা দিনরাত খেটেছে আওয়ামীলীগের জন্য এমন লোক নমিনেশন পেলনা, মাত্র তিন চার মাস আগেও মুসলীম লীগে ছিল এরকম লোক নমিনেশন পেয়ে গেল।) সব মিলিয়ে ভজগট লেগে গেল।
### নিবার্চনে গোপালগঞ্জ থেকে শেখ মুজিব নির্বাচিত হন। তিনশ আসনের মধ্যে নয়টি পায় মুসলিম লীগ।
## আওয়ামীলীগের নেতা হিসেবে শহীদ সাহেব নির্বাচন পরিচালনা করলেও নির্বাচনের পর পার্লামেন্টারী বোর্ডের নেতা হন শেরে বাংলা। এর পর মন্ত্রী সভা গঠন নিয়ে আলোচনা চলল। হক সাহেব কয়েকজন নিয়ে প্রাথমিক মন্ত্রী সভা গড়তে চাইলেন। কিন্তু পুরো মন্ত্রীসভা গঠন না হলে আওয়ামীলীগের কেউ মন্ত্রীসভায় না যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। হক সাহেব বঙ্গবন্ধুকে মন্ত্রীসভায় নিতে অস্বীকৃতি জানান। মন্ত্রীসভা নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র চলল। পরে শেখ মুজিব সহ বার জনকে নিয়ে মন্ত্রীসভা গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। পরে রাতারাতি আরও কয়েকজন বেড়ে যায়।
### সরকার গঠনের পর শুরু হয় নতুন ষড়যন্ত্র। আদমজী জুট মিলে দাংগা সৃষিট করা হয় সরকারের বদনামের জন্য। যুক্তফ্রন্ট সরকারকে হেয়প্রতিপন্ন ও অক্ষম প্রমাণের জন্য।পশ্চিম পাকিস্থানে এ নিয়ে প্রপাগান্ডা চালানো হল। আর এর পরিণতি হিসেবে মন্ত্রীসভা ভেংগে দেয়া হয়। শেখ মুজিব করাচি যান অসুস্থা শহীদ সাহেবকে দেখতে সেখান থেকে দেশে ফিরে দাংগা সৃষ্টির অভিযোগে গ্রেফতার হন। মাওলানা ভাসানী এসময় বিলাত যান। ১২ জন মন্ত্রীর মধ্যে একমাত্র শেখ মুজিবই গ্রেফতার হন। দশমাস জেলে থাকতে হয় আবারও।
#### এদিকে ৫৩ সালে মুসলীম লীগ বিতাড়িত কেউ কেউ মন্ত্রীত্ব ফিরে পেতে লবিং চালিয়ে যাচ্ছিলেন। মোহাম্মদ আলী ঢাকায় এসে হক সাহেবের দলের সাথে গোপন সমঝোতা করলেন আওয়ামীলীগকে না নিলে তার দল পূর্ব বাংলায় সরকার গঠন করতে পারবে এবং শহীদ সাহেব যুক্তফ্রন্টের কেউ নয় একথা ঘোষনা দিতে হবে। শহীদ সাহেব রোগমুক্তির পর কারও সাথে পরামর্শ না করে দেশের অবস্থা না বুঝে আইনমন্ত্রীর পথ গ্রহন করলেন।
## ১৯৫৫ ৫ জুন গনপরিষদের সদস্য হন। ১৭ জুন আওয়ামীলীগের পক্ষে পূর্ব পাকিস্থানের স্বায়ত্বশাসন দাবী করে ২১ দফা ঘোষনা দেন। ২১ অক্টোবর কাউন্সিলে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধু পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৫৬ সালে কোয়ালিশন সরকারের মন্ত্রী হন।
১৯৫৭ সালে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন।
১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ও সেনাপ্রধান সামরিক শাসন জারি করে রাজনীতি নিষিদ্ধ করেন। ১১ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হন। ১৪ মাস জেল খাটার পর তাকে মুক্তি দিয়ে পুনরায় জেলগেটে গ্রেফতার করা হয়।
১৯৬০ সালের ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট করে তিনি মুক্তিলাভ করেন। আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন করার জন্য তিনি গোপন রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালান। এ সময়ই স্বাধীনতা সংগ্রামের লক্ষ্য স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ নামে গোপন সংগঠন গড়ে তোলেন।
১৯৬২ সালের ৬ ফ্রেব্রুয়ারী জননিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা হয়। ১৮ জুন মুক্তিলাভ করেন। (২জুন সামরিক শাষনের অবসান ঘটে)। ২৪ সেপ্টেম্বর লাহোর যান এবং সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট গড়ে তোলেন।
১৯৬৩ সালে অসুস্থ সোহরাওয়াদীর্র সাথে পরামশের জন্য লন্ডন যান শেখ মুজিব। ৫ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী ইন্তেকাল করেন।
১৯৬৪ সালের ২৫ জানুয়ারী বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে আওয়ামীলীগকে পুনরুজ্জীবিত করা হয়।
১১ মার্চ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ ও সাম্প্রদায়িক দাংগা প্রতিরোধে দাংগা প্রতিরোধ কমিটি গঠিত হয়।
রাস্ট্রপতি নির্বাচনের ১৪ দিন পূর্বে আবার গ্রেফতার।
১৯৬৫ সালে মুক্তিলাভ।
১৯৬৬ সালে ৫ ফেব্রুয়ারী ৬ দফা পেশ। ১ মার্চ বঙ্গবন্ধু আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি বিভিন্ন জেলায় রাজনৈতিক সফর শুরু করেন । তাকে বারবার গ্রেফতার করা হয়। ৮ মে পুনরায় গ্রেফতার হন।
১৯৬৮ সালের ৩ জানুয়ারী রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের। ১৭ জানুয়ারী মুিক্ত দিয়ে জেল গেট থেকে পুনরায় গ্রেপ্তার।
১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী জনগণের চাপের মুখে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহর বঙ্গবন্ধুর মুক্তি। ২৩ ফেব্রুয়ারী রেসকোর্ষ ময়দানে বঙ্গবন্ধুকে সংবর্ধনা। আনুষ্টানিক ভাবে বঙ্গবন্ধু উপাধি প্রদান।
১৯৭০ সালের ৬ জানুয়ারী পুনরায় আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত। ১ এপ্রিল কার্যকরী পরিষদের সভায় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত। ৭ জুন রেসকোর্স ময়দানের সভায় ছয়দফার প্রশ্নে আওয়ামীলীগকে নির্বাচিত করার জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান। ১৭ অক্টোবর দলের প্রতিক নৌকা নির্বাচন। ২৮ অক্টোবর জাতির উদ্দেশ্য বেতার টিভিতে ভাষন। ৭ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নিরংকুশ বিজয় লাভ। জাতীয় পরিষদের ১৬৯ টি আসনের মধ্য ১৬৭ টি প্রাদেশিক পরিষদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮৮ টি আসন লাভ।
১৯৭১ সালের ৩ জানুয়ারী নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণ। ৫ জানুয়ারী পাকিস্তানের সর্বাধিক আসন লাভকারী ভুট্টো কেন্দ্রে আওয়ামীলীগের সাথে কোয়ালিশন সরকার গঠনে সম্মতি। জাতীয় পরিষদের সদস্যদের সভায় শেখ মুজিব পার্লামেন্টারী দলের নেতা নির্বাচিত হন। ২৮ জানুয়ারী ভুট্টো ঢাকায় আসেন। তিনদিন বৈঠকের পর আলোচনা ভেংগে যায়। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঢাকায় জাতীয় পরিষদের সভা আহ্বান করেন। ১৫ ফেব্রূয়ারী ভুট্টো দুই প্রদেশে দুই দলের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবী জানান।
১৬ ফেব্রুয়ারীী বঙ্গবন্ধু এক বিবৃতিতে এ দাবীর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন ক্ষমতা আওয়ামীলীগের কাছেই হস্তান্তর করতে হবে।
১ মার্চ জাতীয় পরিষদের সভা অনিদির্ষ্ট কালের জন্য বনধ ঘোষনা। ৩ মার্চ দেশব্যাপী হরতাল আহ্বান। ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে স্বাধীনতার সংগ্রামের ডাক।
৭ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ স্বাধীন দেশ হিসেবেই বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। বাইরের কারো হুকুম এদেশে চলেনি। সবাই বঙ্গবন্ধুর নিদের্শ মেনে নিয়েছে। ১৬ মার্চ ক্ষমতা হস্তান্তর আলোচনা শুরু হয় বঙ্গবন্ধু আর ইয়াহিয়ার মাঝে। ভুট্টৌ এসে আলোচনায় যোগ দেন। ২৪ মার্চ পর্যন্ত আলোচনা হয়।২৫ মার্চ আলোচনা ব্যর্থ হলে ইয়াহিয়ার ঢাকা ত্যাগ। রাতে নিরীহ জনগণের উপর পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর নৃশংষ হত্যাযজ্ঞ। ২৫ রাত ‌১২টা ১০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষনা দেন। এই ঘোষনা সর্বত্র টেলিফোন, টেলিগ্রাম ওয়ারল্যাসে পাঠানো হয়। রাত ১.৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হন। ২৬ মার্চ ইয়াহিয়া এক ভাষনে আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করে বঙ্গবন্ধুকে দেশদ্রোহী আখ্যা দেন।

২৬ মার্চ চট্টগ্রাম স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে এম এ হান্নান বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষনা পত্র পাঠ করেন।

১০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি করে বিপ্লবী সরকার গঠন করা হয়। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনী আত্মসমর্পন করে। তার আগে ৭ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধুকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করা হয়।
১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারী আন্তর্জাতিক চাপের মুখে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধুকে ঢাকার উদ্দেশ্য প্রথমে লন্ডন পাঠানো হয় সেখানে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ। লন্ডন থেকে ঢাকায় আসার পথে ভারতে যাত্রা বিরতি সেখানে ইন্দিরা গান্ধীর সাথে সাক্ষাৎ। ১০ জানুয়ারী ঢাকায় পৌছার পর অবিস্মরনীয় সম্বর্ধনা জ্ঞাপন। ১২ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৪৯ সালে দেয়া বাহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করে। ৬ ফেব্রুয়ারী ভারত সফর। ২৮ ফেব্রুয়ারী সোভিয়েত ইউনিয়ন সফর। ১২ মার্চ মিত্রবাহিনীর বাংলাদেশ ত্যাগ। ১০ অক্টোবর জুলিও কুরী পুরস্কার লাভ।১৫ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের খেতাব প্রদানের ঘোষনা। ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সংবিধানে স্বাক্ষর। ১৬ ডিসেম্বর সংবিধান কার্যকর।

১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদের প্রথম নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৩ টি আসন লাভ। ৩ সেপ্টেম্বর ঐক্যফ্রন্ট গঠন। ৬ সেপ্টেম্বর আলজিরিয়া, ১৭ অক্টোবর জাপান সফর।

১৯৭৪ সালে ১৭সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলায় ভাষন প্রদান।

১৯৭৫ সালে ২৫ জানুয়ারী রাষ্ট্রপতি পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থার প্রবর্তন।২৪ ফেব্রুয়ারী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে জাতীয় দল বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামীলীগ গঠন। জাতীয় দলে যোগদানের জন্য সকল রাজনৈতিক দল ও নেতার প্রতি আহ্বান।

১৫ আগষ্ট কুচক্রী সেনাসদস্যদের হাতে সপরিবারে নির্মমভাবে শহীদ হন। সামরিক শাষন জারি। জাতির জনকের আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচারের হাত থেকে রেহাই দেয়ার জন্য ২৬ সেপ্টেম্বর কুখ্যাত কালো আইন ইনডেমনিটি (সামরিক অধ্যাদেশ) জারী। জেনারেল জিয়াউর রহমান সামরিক শাষনের মাধ্যমে অবৈধ ভাবে ক্ষমতা দখল। খুনিদের বিদেশের বিভিন্ন দুতাবাসে চাকরী প্রদান।

Thursday, April 12, 2018

মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয় সমীপে মুক্তির খোলা চিঠিঃ


মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয় সমীপে মুক্তির খোলা চিঠিঃ

মহোদয়,
যথাযোগ্য মর্যাদা ও সন্মান পুরঃসর বিনীত নিবেদন এই যে, আমি জন্মসূত্রে একজন বাংলাদেশি জাতীয় কন্ঠশিল্পী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা। ইউনিক গ্রুপের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নূর আলীর ব্যক্তিগত সচিব থাকাকালীণ ২০০২ সালে জামাত বি এন পি জোট সরকারের অবৈধ আস্তানা "হাওয়া ভবনের" ভূয়া মামলা ও নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হই এবং মালদ্বীপে এসে একটি স্কুলে শিক্ষকতা শূরু করি।
আমার চির স্বভাবজনিত দুর্বিনীত প্রতিবাদী মানসিকতার কথা স্বয়ং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমান সরকারের বহু নেতা/মন্ত্রীগণ অবহিত রয়েছেন। আওয়ামী লীগ অফিসে বঙ্গবন্ধুর গানের মুক্তি নামেই সর্বজনবিদিত।
আওয়ামী রক্ত তাই প্রবাসে এসেও নীরব থাকতে পারিনি; যে দেশে প্রবাসীদের রাজনীতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ সে দেশে আমি মুক্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলাম মালদ্বীপ আওয়ামী লীগ।
মালদ্বীপস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ( সাবেক হাই কমিশন) এর সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী হিসেবে বহু লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছে।
এমন কি এতদবিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জেনারেল আবেদীন, সাবেক মন্ত্রী কর্নেল ফারুক, আব্দুস সোবহান গোলাপ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, জয়নাল হাজারী, শামীম ওসমান, জুনায়েদ আহমেদ পলক ও ডঃ দীপুমনিও অবহিত আছেন।
মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের অনেক অনুষ্ঠানেই বহু মন্ত্রী ও মান্যবর সাবেক হাই কমিশনার রিয়ার এডমিরাল আওয়াল সাহেবও যোগদান করেছিলেন । ভিডিও ও ছবি প্রমানবহন করে (ছবি সংযুক্ত )

মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ২০১৪ সালে ইস্কান্দার স্কুলে জাতীয় শোক দিবস পালনের আয়োজন করেছিলাম । সে অনুষ্ঠান করতে দেয়নি হেড অফ দি চ্যাঞ্চেরী হারুন অর রশিদ।

আমি মালদ্বীপের মহামান্য প্রেসিডেন্ট ডঃ ইয়ামীন মাওমুনের একটি অনুষ্ঠানে তাঁর সামনেই ছিলাম।

হঠাত একটি ফোন এলোঃ
*******************
ঃহ্যালো আমি হেড অফ দি চ্যাঞ্ছেরী হারুন অর রশিদ বলছি;
ঃকে মুক্তি সাহেব বলছেন?
ঃজ্বি
ঃশুনেছি আপনি ১৫ই আগষ্ট পালন করছেন আপনার ইস্কান্দার স্কুলে?
ঃজ্বি আমার সব অনুষ্ঠান তো ইস্কান্দার স্কুলেই হয়ে থাকে।
ঃআপনি এ অনুষ্ঠান করতে পারবেন না; ঐ দিন হাই কমিশন থেকে অনুষ্ঠান করা হবে সূতরাং আপনার অনুষ্ঠান বন্ধ করতে হবে;
ঃআমি এ মুহূর্তে কথা বলতে পারছি না; আমি প্রেসিডেন্টের সামনে কাজেই পড়ে কথা বলছি;
ঃআপনি বুঝতে পারছেন তো যে হাই কমিশন আপনাকে কল করেছে?
******************
মালদ্বীপের রাজধানী মালে ইস্কান্দার স্কুলে আমি মুক্তি যে হলটিতে পররাষ্ট্র প্রতি মন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, প্রবাসী কল্যান ও জনশক্তিমন্ত্রী ইঞ্জিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন দেরকে সংবর্ধনা দিয়েছি, সে হলেই আয়োজন করেছিলাম জাতীয় শোক দিবস ২০১৪।

সে অনুষ্ঠানের অপরাধেই আমার মালদ্বীপের সোনালী দিনগুলো ১৫ই আগস্টের চেয়েও ভয়াবহ করে তুলেছিল এই হারুন অর রশিদ, হেড অফ দি চ্যাঞ্ছেরী এবং সাবেক হাই কমিশনার রিয়ার এডমিরাল আওয়াল।
********
মালদ্বীপে আমার হাতে গড়া আওয়ামী লীগের ছেলেদের ভয় ভীতি দেখিয়ে দেশে পাঠিয়ে দিয়ে আমাকে পঙ্গু করে দেয়া হল। তারপরেও হারুন অর রশিদ সাহেবের খায়েশ মিটেনি। সে মালে অবস্থানরত তার পোষা দালাল আদম ব্যবসায়ী, গাঞ্জা ব্যবসায়ী, ডলার ব্যবসায়ীদের একটি গ্রুপ নিয়ে চলে এবং সীমাহীন দুর্নীতি লুটপাট করে বেড়ায়। এখানে অতিরঞ্জিত কিছুই লিখছি না। প্রমান সহই দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রেরণ করেছি আমি তদন্ত চাই। অতি সম্প্রতি সে ঐ একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে। আমাকে টেলিফোনে মারধর করার হুমকি দিয়েছে। বিষয়টি মালদ্বীপ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।

মালদ্বীপ দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন হয়ে গেল। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে বাংলাদেশ দূতাবাস গত ২১শে ফেব্রুয়ারি এবং স্বাধীনতা দিবসে একজন ভারতে প্রশিক্ষণ নেয়া মুক্তিযোদ্ধা, জাতীয় কন্ঠশিল্পী ও মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মালদ্বীপ সরকারের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিক্ষক (আমি নিজে ), একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মালদ্বীপে কর্মরত ৩৩ বছরের সিনিয়র ফিজিক্সের শিক্ষক আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মীর সাইফুল ইসলাম এবং আর একজন ২৫ বছর যাবত মালদ্বীপে শিক্ষকতায়রত গজল সঙ্গীত শিল্পী মালদ্বীপের অত্যন্ত জনপ্রিয় ও সর্বজনবিদিত শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলাম।

এই তিন জন শিক্ষকের কাউকেই মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মালদ্বীপস্থ দূতাবাস নিমন্ত্রণ করেন নি। বিষয়টি মালদ্বীপের মন্ত্রণালয় ও প্রেসিডেন্ট হাউসের কর্মকর্তাদেরও নজরে এসেছে। এ দেশে বাংলাদেশী এই তিনজন শিক্ষকই অত্যন্ত দক্ষতার কারনে এবং বিশেষ করে শফিক ও আমি গানের কারনে প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে কোন মন্ত্রী, ধনিক ব্যবসায়ী, বর্ণাঢ্য বণিক শিল্পী ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার কেউ নেই যে আমাদের এই তিনজনকে না চিনেন বা না জানেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে স্বাধীনতা দিবসে আমন্ত্রণ না করার হেতু একটাই হতে পারে যে দেশ আজো স্বাধীন হয়নি অথবা এই দূতাবাস পাকিস্তানের অথবা এই দূতাবাসে মহান স্বাধীনতার স্বপক্ষের কোন কর্মকর্তা কর্মচারী নেই।
মহান স্বাধীনতা দিবসে কেন আমাদের দূতাবাস নিমন্ত্রণ করেনি? আমরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিভাগীয় মাননীয় মন্ত্রী হিসেবে আপনাকে অবহিত করলাম।
আমরা জাতীয় সম্পদ। আমাদেরকে জাতীয়ভাবেই অপমান করা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই। কারন জানতে চাই।

মহানুভব, পররাষ্ট্রনীতি ও কুটনৈতিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে খ্যাত আপনার সমগ্র জীবনের লব্ধ অভিজ্ঞতা আজ পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রশাসনিক জটিলতা সমস্যাদি সমাধান ও বিদেশের সাথে পারস্পরিক সুসম্পর্ক স্থাপনে আপনার সততা শ্রম ও সফলতার সূত্র ধরেই আজ সুবিচারের প্রত্যাশায় আপনাকে অবহিত করলাম। যদি বাংলাদেশ সরকার মনে করে আমি বাঙ্গালী নই, বাংলাদেশী নই-আমার পাসপোর্ট বাংলাদেশ সরকার জব্ধ করতে পারে, আমার কোন আপত্তি নাই। কিন্ত এ অপমানের বোঝা নিয়ে বাঙ্গালী হিসেবে আর মালদ্বীপে পরিচয় দিতে চাইনা। প্রয়োজনে পাসপোর্ট পুড়িয়ে শরণার্থী হয়ে যাবো যেমনটি হয়েছিলাম ১৯৭১ সালে ভারতে আশ্রয় নিয়ে।
ভালো থাকুক দেশের মানুষ ভালো থাকুক শেখ মুজিবের নিরস্পেষিত নির্যাতিত লাঞ্ছিত বঞ্চিত অবহেলিত চির দুখি চির সংগ্রামী বাঙ্গালী জাতি।
আল্লাহ আপনার ভালো করুন;
দেশ আরো এগিয়ে যাক, আরো উন্নয়ন ঘটূক, উত্তরোত্তর বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ খ্যাত স্বীকৃতিকে ডিঙ্গিয়ে উন্নত দেশের তালিকায় লিপিবদ্ধ হোক;

জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
আপনার একান্ত ভক্ত অনুরাগী
মোকতেল হোসেন মুক্তি
বীর মুক্তিযোদ্ধা জাতীয় কন্ঠশিল্পী
সিনিয়র সঙ্গীত শিক্ষক
ইস্কান্দার স্কুল মালে, মালদ্বীপ

Monday, March 5, 2018

অশিক্ষিত মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা ও ভাতা প্রসঙ্গে এত জ্বলন কেন? মোকতেল হোসেন মুক্তি

অশিক্ষিত মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা ও ভাতা প্রসঙ্গে এত জ্বলন কেন? মোকতেল হোসেন মুক্তি
“সাত কোটি সন্তানেরে হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙ্গালী করে মানুষ করনি”-

former secretary Nazrul Islam khan N I Khan নামেই বেশী পরিচিত। সাবেক এই সচিব মহান মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় ৪ নেতাদের নিয়ে অনেক গবেষণামূলক প্রবন্ধ লেখা লিখেছেন। মনে প্রাণেই মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তির একজন তুখোড় লেখক সমালোচক এবং গবেষক । তিনি উচ্চ শিক্ষিত বিধায় তাঁকে নিয়ে কোন খারাপ মন্তব্য করা সমীচীন নয়। কিন্তু একটি বিষয় আমার বোধগম্য হচ্ছে না যে তিনি কেন হঠাত করে মূর্খ গরীব অসহায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানের একান্ত প্রাপ্য জাতীয় মর্যাদা ও সন্মানাদি প্রসঙ্গে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান এবং বিরুপ কঠোর সমালোচনামূলক বিতর্কের সৃষ্টি করলেন? একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি না পেলেও আমার সন্তান আমি বিদেশে নিজের কষ্টার্জিত অর্থেই লেখা পড়া করিয়েছি। নিজে যা'পারিনি তা' সন্তানদের পুরন করার এই যে মহান প্রত্যয় ও প্রত্যাশা তা' বাস্তবায়ন করা অতি হত দরিদ্র্য নিভৃত পল্লীর অখ্যাত অজ্ঞাত অশিক্ষিত একজন বয়োবৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধাদের দ্বারা আদৌ সম্ভব নয়। ১। মাদারীপুর কালকিনি উপজেলার কমান্ডার মুক্তিযুদ্ধকালীন আমার কমান্ডার New Zealand প্রবাসী Hanif Mahmud নিজেও উচ্চ শিক্ষিত এবং তাঁর সন্তানদের উচ্চ শিক্ষার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। ২। মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব প্রদানকারী সেক্টর কমান্ডারগণ/ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক/ইউনিক গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূর আলী/নৌ পরিবহন মন্ত্রী মোঃ শাহজাহান খানসহ আরো অগনিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা অথবা তাদের সন্তানেরা কি অশিক্ষিত? অন্যান্য বিত্তশালী উচ্চ শিক্ষিত বর্ণাঢ্য ব্যবসায়ী/শিল্পী/সাহিত্যিকগীতিকার/সুরকার/সচিব/কবি/লেখক/ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ারদের কথা না হয় উল্লেখ নাই করলাম। যাদের আর্থিক সঙ্গতি রয়েছে তাদের সন্তানদের শিক্ষা ও চাকুরীর ক্ষেত্রে এই বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধার কোটা প্রয়োজন নেই। তাই তাঁরা এ সব নিয়ে কখনো মাথায় ঘামাননি বা বিষয়টি এত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে কোন মিডিয়া বা পত্র/পত্রিকায় গুরুত্ব সহকারে আলোচিত হয়নি। আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা এই হত দরিদ্র্য অজো পাড়া গায়ে অবহেলা অবজ্ঞা দীনহীন মানবেতর জীবন যাপন করা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়নের লক্ষ্যেই মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা/কোটা ইত্যাদিসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা যথা গ্যাস বিল পানি বিল বিদ্যুৎ বিল সিটি কর্পোরেশনের ট্যাক্স-আয়কর কিছুটা কমিয়ে সহজতর করার চেষ্টা করেছেন। যদিও এরই মধ্যে বিগত জামাত বি এন পি সরকারের অশুভ কর্ম পরিধি মুক্তিযোদ্ধার তালিকাকে কলুষিত ও কলঙ্কিত করেছে। তালিকায় নাম এসেছে ৪ বছরের দুধের শিশুর। বিধায় আসল মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকেরই নাম আজো তালিকাভুক্ত হয়নি। যে সমস্যা নিয়ে আমরা অনেকেই হা হুতাশ এবং বর্তমান সরকারের মন্ত্রী নেতা ও কমান্ডারদের কঠোর সমালোচনা করে যাচ্ছি। অন্যদিকে অমুক্তিযোদ্ধা হাতিয়ে নিচ্ছে শেখ হাসিনার দেয়া সকল সুযোগ সুবিধাদি। "সকলের জন্য ধান, সকলের জন্য চাল, সকলের জন্য পানি, সকলের জন্য ভূমি, শিক্ষা, সকলের জন্য অন্ন বস্ত্র বাসস্থান, সকলের জন্য আর্থ সামাজিক উন্নয়নের সুসমবন্টন, সকলের জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধের ফসল, সকলের জন্য একটি সুখি সাচ্ছন্দ জীবন ব্যবস্থার জন্যই জাতিরজনকের আজীবন সংগ্রাম এই মহান "স্বাধীনতা"। সাড়ে সাত কোটি থেকে আজ আমরা ১৬ কোটি ৩৫ লক্ষে পৌছে গিয়েও সমাধান করা সম্ভব হয়নি হতভাগা মুক্তিযোদ্ধাদের সমস্যা। এর মূল কারন ১৯৭৫ সালে জাতিরজনক ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সফল সংগঠক জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করা এবং পাকিস্তান আই এস আই'র পা'চাটা কুকুর স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে পুনঃপ্রতিষ্ঠার ফলে হারিয়ে গিয়েছে আসল মুক্তিযোদ্ধারা এবং দেশপ্রেমিক সোনার মানুষগুলো। "৭৫ পরবর্তী এমনও পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হয়েছে যে ভয়ে অনেকেই স্বীকার করেনি যে আমি মুক্তিযোদ্ধা" বা আওয়ামী লীগ সমর্থনকারী । কি ভয়াবহ ছিল বাঙ্গালী জাতির ২১টি বছর! ভাবতে গেলে গা'শিউরে ওঠে! লক্ষ করলেই দেখা যাবে যে স্বাধীনতা বিরোধী আল বদর আল শামস আল-রাজাকারের কোন সন্তান অশিক্ষিত নয় এবং দারিদ্র্যসীমার নীচে জীবন প্রবাহ অতিবাহিত করে না। ভাগ্নে সজীব ওয়াজেদ জয় " একটি ডিজিটাল বাংলাদেশ' এর একটি সেমিনারে উল্লেখ করেছিলেন " মহান স্বাধীনতায় বাঙ্গালী জাতি বিজয় অর্জন করলেও স্বাধীনতার সুফল মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তির ঘরে পৌছায় নি" কথাগুলো একটি ছোট মানুষের হলেও বিশাল এবং ব্যাপক অর্থে মহা দর্শনের চেয়েও অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ ছিল সজীব ওয়াজেদ জয়ের সে বক্তব্য। অতি সম্প্রতি ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জনৈক মুনতাসীর মামুন স্যার এবং শাহরিয়ার কবীর (যিনি জীবনে তাঁর কোন লেখায় বঙ্গবন্ধুকে জাতিরজনক বলে স্বীকার করেন নি বা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোন লেখা প্রবন্ধ গল্প কাহিনী কখনো লিখেন নি কিন্তু তিনি রাজাকারের ফাসি চেয়েছেন) এই মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছিলেন এবং পরবর্তীতে নেত্রীর পরোক্ষ ধমক অর্থাৎ সান্টিং খেয়েই দালাল নির্মূল কমিটির দালালগণ থেমে গিয়েছিলেন। মুনতাসীর মামুন সাহেব আবার আওয়ামী লীগ সরকারের পয়সায় ইতোমধ্যে পবিত্র হজ্বব্রতটিও বীনা পয়সায় সেরে নিয়েছেন। যাক সে কথা লিখছিলাম। একটি বিষয় আমি ৭১ থেকে এ পর্যন্ত অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে লক্ষ করে এসেছি এবং হিসাব মিলিয়েও দেখেছি যে সাবেক শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান স্যারের কথার মধ্যে কিছুটা সত্যতা খুজে পেলেও এই ভাতা ও কোটার বিরুদ্ধে তাঁর মত বিচক্ষন ব্যক্তি জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সর্ব উচ্চ ডিগ্রিধারী একজন পণ্ডিত ব্যক্তির বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তি সমর্থকের কলামে/ভাষায়/লেখায়/বলায়/ তর্কে /বিতর্কে বিরোধীতা কেমন যেনো বেমানান এবং অশালীনতার মতই গা'জ্বালাময় বক্তব্য। আমি তাঁকে চিনি এবং জানি। তিনি মনে প্রাণেই জাতিরজনকের একান্ত ভক্ত অনুসারী । কিন্তু এই হতভাগা দীনহীন অশিক্ষিত হত দরিদ্র্য অজো পাড়া গায়ের সর্ব কালের সর্ব শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের "অশিক্ষিত বা মূর্খ" শব্দটি ব্যবহার করে সর্বনাশ করে দিলেন! আমি হতবাক নজরুল স্যার! আপনার মত ব্যক্তির মূখে মুনতাসীর মামুন ও শাহরিয়ার কবীরের মত বস্তাপচা সস্তা হাত তালির প্রত্যাশায় এহেন বক্তব্য নিদারুণ বেদনাদায়ক এবং অসহনীয়। আমার গ্রামে আব্দুর রহিম সরদার নামে একজন মুক্তিযোদ্ধা। যার সন্তান এস এস সি পরীক্ষা দেবার ফি না দিতে পারার কারনে ঘরে বসে কাদতে ছিলেন। তারপরে যেভাবেই হোক অন্য কেউ ব্যবস্থা করেছিল। আজ যদি এই হত দরিদ্র্য আব্দুর রহিম সরদারের অর্থ থাকত তাহলে ইউনুক গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূর আলি স্যারের মতই এই রহিমের ছেলেও আমেরিকান ইন্টারন্যাসনাল স্কুলে ইংলিশ মিডিয়ামে নিউ ইয়র্কে লেখা পড়া করত এবং মাসের ঐ ১০ হাজার টাকা ভিক্ষা এবং ছেলেকে ভর্তি ফি না দিতে পারার যন্ত্রণায় কাতরাতে হতনা। কাজেই এই হত দরিদ্র্য রহিমের ছেলে যেভাবেই হোক পাস করে একটি চাকুরী নিতে যাবে। ১০০ মার্কের মধ্যে যদি সে ৮০ থেকে ৯০ ও প্রাপ্ত হয় তার চাকুরী হবে না। কেন জানেন? কারন একটি সরকারী চাকুরী নিতে গোটা দেশে এখন হাইব্রীড কাউয়া ফার্মের মূরগীর দালালদের নিকট প্রথমে দৌড়াতে হবে। তারপরে চুক্তি হবে দালালের সাথে। কত লাখ দিতে পারবেন? না না তা' হবে না, কারন মন্ত্রী সাহেবকেই দিতে হবে ৫ লাখ। তারপরে ওমক নেতাকে দিতে হবে এবং এর মধ্য থেকেই আমার % রাখতে হবে। এখন আসুন আসল কথায় আমার গ্রাম দক্ষিন আকাল বরিশ ঐ যে হতভাগা বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম সরদারের ছেলে গল্প বলছিলাম-সে আব্দুর রহিম সরদার ওর বাপ দাদা ১৪ গুষ্ঠির সকল ঘর বাড়ী সহায় সম্বল কম্বল বিক্রয় করলেও ২ লাখ টাকার বেশী যোগার করতে পারবে না। আমার আত্মীয় আমার সহপাঠী, সহযোদ্ধা বন্ধু, আমি তার একান্তজন হিসেবে সবই জানি। সে আমারই এক ছাত্রীকে বিয়ে করেছিল। তাহলে নজরুল স্যার আপনি যে বললেন সকল % কেটে মাত্র ৫% কোটা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সীমিত রাখতে, বাকীটা কি ঐ সকল আল বদর আল শামস আল রাজাকারের সন্তানের জন্য রাখতে বলছেন? নাকি আপনার ছেলে মেয়ে অথবা মুনতাসীর মামুন ও শাহরিয়ার কবীরের ছেলে মেয়েদের জন্য রাখতে বলছেন? তবে স্যার একটা কথা জেনে রাখবেন-মনে রাখবেন " জাতিরজনকের ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ও ২৬শে মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণায় উল্লেখ করা উচিত ছিল যে অশিক্ষিত মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করতে পারবে না - শুধু আপনাদের মত মহা জ্ঞানপাপী পন্ডিত বর্ণাঢ্য ব্যবসায়ী সুদখোড় ইউনুসের মত ধনকুবের লুটেরা, রাজাকার মুসা বীন শমসেরের (লুনা মুসার) মত গোটা বাংলাদেশের খেতে খামারে ব্রিটিশ সরকারের গাঁরা ম্যাকনেট চুরি করে বিক্রয়কারী) মুনতাসীর মামুনের মত দালাল এবং শাহরিয়ার কবীরের মত সুবিধাভোগি চাটুকর তোষামোদকারীরাই মুক্তিযুদ্ধ করতে পারবে। যেহেতু বঙ্গবন্ধু কৃষক শ্রমিক জেলে তাতী কামার কুমার ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার কবি শিল্পী সাহিত্যিক লেখক নৌকার মাঝি ইঞ্জিনের ড্রাইভার অথবা রিকশা/ভ্যানগাড়ী চালক/বাসের ড্রাইভার/হেল্পার/ঠিকাদার কারো কথাই বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে স্পষ্ট উল্লেখ করেননি। সেহেতু আপনাদের এহেন অবান্তর অহেতুক কোটার বিরোধী তথা হত দরিদ্র্য দীনহীন মজদুর অজো পাড়া গায়ের নিভৃত পলীতে রাত দিন আপনাদের মূখের অন্ন ফলানোর কাজে ব্যস্ত বয়োবৃদ্ধ অশিক্ষিত মুক্তিযোদ্ধের "অশিক্ষিত" বলে সম্বোধন করে মহান মুক্তিযুদ্ধের মহা নায়ক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতিরজনকের বিদেহী আত্মাকে কষ্ট দেবার চেষ্টা থেকে বিরত হোন। আপনি ভালো থাকুন। সুন্দর থাকুন। আমরাত অশিক্ষিতই; সে দোষ ত আমাদের না স্যার? সে দোষ পশ্চিমা শোষক হায়েনা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ লিয়াকত আলী খান আইউব খান টিক্কা খান, মোনায়েম খানদের। “সাত কোটি সন্তানেরে হে মুগ্ধ জননী রেখেছ বাঙ্গালী করে মানুষ করনি।”- কবির এ মর্মবেদনা অনেক পুরোনো।সেদিনের কবির চেতনায় আগুন ধরেছিল বঙ্গ সন্তানদের চেহারা দেখে। তাই বড় আফসোস করে কবি তার বেদনা দগ্ধ চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন কাব্যিক ছন্দে।কিন্তু আজ অনেক চড়াই উৎরাই ঘাত প্রতিঘাত আর উস্থান-পতনের মাধ্যমে স্বাধীনতার এতো বছর পরেও বাঙ্গালীর জাতির পিতা নিয়ে আমরা নষ্ট খেলা,ইতিহাস নিয়ে টানাটানি এবং অপবাদ নিয়ে মেতে আছি। আমরা আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যে, সংশয় এবং মানা না মানার মধ্যে দিয়ে যে নষ্ট খেলায় মেতে আছি তা শুধু আমাদের জন্য অপমান জনক না বরং তা আমাদের বিশ্বের মানচিত্রে অতি নগ্ন হিসাবেই পরিচিত লাভ করাতে দ্বিগুন সাহায্য করে। ঠিক তেমনি মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রণয়নে এবং ভাতা ও কোটা নিয়েও আপনারা আজ জাতিরজনক নেই বলেই টানা হেচড়া করে সন্মানের বদলে অসন্মান করছেন। তাহলে আমাদের ঢাকা ষ্টেডিয়ামে ডেকে কেন বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে অস্ত্র জমাদানের প্রাক্কালে জীবন প্রদ্বীপ নিভিয়ে দিলেন না?

Tuesday, October 24, 2017

সঙ্গত কারনেই বিচার চাই; একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিচার পাওয়ার অধিকার আমার আছে।


মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক আমার মত একজন সামান্য ক্ষুদ্র মুক্তিযোদ্ধার আবেদন গ্রহণ না করে মেজর জেনারেল (অব) সুবিদ আলী ভুইয়ার কথায় আমাকে অপমান করে তাড়িয়ে দিতে পারেন না। আমি ভারতে প্রশিক্ষন নেয়া মুক্তিযোদ্ধা। আমার অধিকার আমাকে ফিরিয়ে দিতে হবে এবং মোজাম্মেল হকের ক্ষমা চাইতে হবে। এর জন্য যা'করার তাই করবো ইনশাহ আল্লাহ্‌। হয়তো আওয়ামী লীগ সরকার ক্রস ফায়ারও দিতে পারে। সে জন্য কোন মুজিবসেনা জয় বাংলা শ্লোগান দিতে পিচ পা হয়না; সে জন্য কোন মুক্তিসেনা মৃত্যুর পরোয়া করে পিচ পা হতে জানে না। এ কথা আ ক ম মোজাম্মেল হকের জানা নেই। বিচার চাই। সঙ্গত কারনে বিচার চাই। মুক্তিযোদ্ধা হতে চাইনা। সনদের কপালে থু থু দেই মোজাম্মেল সাহেব। আপনার জন্য আমার নির্বাচনী প্রচারে নামতে হবে না? আপনার জন্যওত আমার কিছু দায় দায়িত্ব আছে না কি বলেন?

আপনার ঘুম হারাম করে দেবো যদি মেরে না ফেলেন। আপনার পৃথিবী কানা করে ফেলবো পোষ্টারে পোষ্টারে। ঠেলা সামলান। দেশে কি বিচার ব্যবস্থার এতই অবনতি হয়েছে যে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী লাঞ্ছিত করছে আর তার বিচার হচ্ছে না? তাহলে জামাত বি এন পি র অত্যাচারী স্বৈরাচারী সরকার আর মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব প্রদানকারী সফল রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?


জামাত শিবির মুক্তিযোদ্ধাদের মার ধর করে, আমরা প্রতিবাদ করি। আজ আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী ভারতে প্রশিক্ষন নেয়া একজন মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করছে; তার কেন প্রতিবাদ হল না? তার কেন বিচার হবে না? তাহলে কি আওয়ামী লীগ সরকার ও মন্ত্রী পরিষদ স্বেচ্ছাচারী হিসেবে ইতিহাসে নাম লিখতে যাচ্ছে? হারিয়ে যেতে বসেছে মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্যাগ মহিমা গৌরব ও হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর সারা জীবনের তপস্যা সাধনা শ্রম ও জেল জুলুমের মহাত্ম? 

৩০ লক্ষ শহীদদের আত্মত্যাগের মহিমা কি এই আ ক ম মোজাম্মেল হকদের দ্বৌরাত্বের নিকট হেরে গেল? 
২ লক্ষ ৪০ হাজার মা বোনের ইজ্জত ও সম্ভ্রমের কি মর্যাদা প্রদান করলো আওয়ামী লীগ? 
প্রতিকার চাই। বিচার চাই; এটাই শেখের বেটির নিকট শেষ প্রত্যাশা। 
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
মুক্তিসেনারা পিছু হটতে জানে না। 

জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।